প্রত্যাহার করা হচ্ছে দেশের সব জেলা প্রশাসকদের। একই সঙ্গে বাতিল হচ্ছে জেলা প্রশাসক নিয়োগের পুরাতন নীতিমালা। নতুন পদায়ন হবে মেধা, যোগ্যতা ও সততার ভিত্তিতে।
সোমবার (১৯ আগস্ট) সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ড- এসএসবির সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ ছাড়া বাতিল করা হচ্ছে নতুন প্রশাসক নিয়োগের ক্ষেত্রে বাছাই করা ‘ফিট লিস্ট’।
নতুন জেলা প্রশাসক বাছাইয়ের ক্ষেত্রে এসএসবিকে সহযোগিতা করবে বিসিএস প্রশাসন ২৪, ২৫ ও ২৭ ব্যাচের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত একটি কমিটি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দেখভাল ও ভূমি অধিগ্রহণ প্রকল্পের বাস্তবায়নসহ স্থানীয় পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বপালন করেন উপসচিব পদমর্যাদার মাঠ পর্যায়ের এসব কর্মকর্তা। নতুন নিয়োগের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন গেলো ১৮ বছরে পদোন্নতি বঞ্চিতদের বড় একটি অংশ।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট পতন হয় হাসিনা সরকারের। আন্দোলনের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে মাঠ প্রশাসনের বিভাগীয় কমিশনার ও ডিসিরাও সরকারের নির্দেশে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বাধা সৃষ্টি করেন বলে অভিযোগ আন্দোলনকারীদের।
বর্তমানে বিভাগীয় কমিশনার পদে ঢাকা ও খুলনার বিভাগীয় কমিশনার ১৫ ব্যাচের এবং বাকিগুলোতে ১৭তম ব্যাচের কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়া জেলা প্রশাসক পদে বর্তমানে বিসিএস ২৪, ২৫ ও ২৭তম ব্যাচের কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করছেন। মাঠ প্রশাসনের এসব কর্মকর্তার অধীনেই অনুষ্ঠিত হয়েছে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে। নতুন সরকার দায়িত্ব নিয়েই সংস্কারকাজে হাত দিয়েছে। এরই মধ্যে বিগত সরকারের আমলে চুক্তিতে থাকা অনেক কর্মকর্তার চুক্তি বাতিল হয়েছে। প্রশাসনের বঞ্চিত কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে পদায়ন করা হয়েছে। শিগগিরই মাঠ প্রশাসনেও বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হবে।