
হেড লাইন: এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে খালেদা জিয়া দেশে ফিরতে পারেন। আর নির্বাচনের কৌশল নির্ধারণ হলেই তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়টি জানা যাবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রোববার (৩০ মার্চ) সকালে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা জানান।
এ সময় মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের চীন সফরকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে বিএনপি। বাংলাদেশের জনগণ সকল দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে চায়। তবে, বিগত সরকারের পক্ষপাতমূলক নীতির কারণে বিদেশি বড় প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে পারেনি।
নির্বাচন ইস্যুতে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে হতাশা প্রকাশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের জনগণ আশা করছে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে। বিএনপির জনপ্রিয়তা নষ্ট করতে পারলে গণতন্ত্রবিরোধী শক্তির সুবিধা হয় বলেও তিনি দাবি করেন। তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক অনভিজ্ঞতা থেকে সরকার নির্বাচনী রোডম্যাপ তৈরি করছে না।
তিনি বলেন, জনগণ সরকারের কাছ থেকে নিরপেক্ষতা আশা করছে। যদি সরকার নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়, তবে জনগণ তা মেনে নেবে না। নির্বাচন নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলছে, কিন্তু সংস্কার সংস্কার করে নির্বাচন পেছানোর সুযোগ নেই। বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমেরিকায় পরিবারতন্ত্র হলে কোনো সমস্যা হয় না, কিন্তু বাংলাদেশে হলেই সমস্যা হিসেবে দেখা হয়। তিনি দাবি করেন, কিছু মহল বাংলাদেশকে মধ্যযুগে ফিরিয়ে নিতে চায়। তিনি অভিযোগ করেন, বিদেশে বসবাসরত কিছু ব্যক্তি ফেসবুকে বিভিন্ন মন্তব্য করে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চায়। এসময় তিনি বলেন, সেনাবাহিনীকে নিয়ে বিতর্ক তৈরি করা কোনোভাবেই কাম্য নয়।