প্রচ্ছদ সারাদেশ দুলুর জনসভা মঞ্চে পলকের শ্যালিকা, যে সিদ্ধান্ত নিলো জেলা বিএনপি

দুলুর জনসভা মঞ্চে পলকের শ্যালিকা, যে সিদ্ধান্ত নিলো জেলা বিএনপি

সারাদেশ: নাটোরের সিংড়ায় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক উপমন্ত্রী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর জনসভা মঞ্চে আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলকের শ্যালিকা ফারজানা রহমান ছিলেন। এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে সিংড়া উপজেলায় কোর্ট মাঠে ওই জনসভা হয়।

অবেশেষে উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আনোয়ারুল ইসলাম আনুকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে জেলা বিএনপি। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আনুকে জবাব দেয়া নির্দেশ দেয়া হয় ওই নোটিশে।

ডা. ফারজানা রহমান দৃষ্টি পলকের স্ত্রী আরিফা জেসমিনের চাচাতো বোন এবং সিংড়া উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আনোয়ারুল ইসলাম আনুর ভাতিজি। জনসভায় সভাপতিত্ব করেন সিংড়া উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আনোয়ারুল ইসলাম আনু। তিনি জুনাইদ আহ্‌মেদ পলকের চাচাশ্বশুর।

বিএনপির জনসভা মঞ্চে বসে আছেন পলকের শ্যালিকা ফারজানা রহমান (চশমা চোখে)।

বিএনপির জনসভা মঞ্চে বসে আছেন পলকের শ্যালিকা ফারজানা রহমান (চশমা চোখে)।

জানা গেছে, উপজেলা ও পৌর বিএনপির যৌথ আয়োজনে শুক্রবার বিকেলে কোর্ট মাঠে জনসভা শুরু হলে প্রধান অতিথি হিসবে আসন গ্রহণ করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা রুহুল কুদ্দুস। তার সঙ্গে দলটির কেন্দ্রীয় নেতা কাজী গোলাম মোর্শেদ, জেলা বিএনপির সদস্যসচিব রহিম নেওয়াজ, যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ এমদাদুল হক আল মামুন মঞ্চে আসন গ্রহণ করেন। রহিম নেওয়াজ ও শেখ এমদাদুল হক আল মামুনের ঠিক পেছনেই বসেন পলকের শ্যালিকা ফারজানা রহমান। এ সময় অনেকেই তার ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন। সেসব ছবি ও ভিডিও শুক্রবার রাতে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেন স্থানীয় বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের কর্মী-সমর্থকেরা। পরে এ নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা হয়।

সিংড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আনোয়ারুল ইসলাম আনু জানান, তাকে (ভাতিজি ডা. ফারজানা রহমান দৃষ্টিকে) আমি মঞ্চে উঠাইনি। অনেক মানুষ জনসভায় এসেছে কিভাবে উঠেছে জানি না। আর সে যে যুব মহিলা লীগের কোন পদে রয়েছে এ বিষয়টিও আমি জানতাম না। তিনি এখনও নোটিশ হাতে পাননি। মৌখিকভাবে তিনি জেনেছেন বলেও জানান।

জানতে চাইলে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট এম. রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, মিটিংয়ে হাজার হাজার লোক এসেছিল। আমি ব্যক্তিগতভাবে তো কাউকে চিনি না। আমাদের কানে যখন বিষয়টি এসেছে তখন তাকে সড়িয়ে দেয়া হয়েছে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (রাজশাহী বিভাগ) অ্যাডভোকেট শাহীন শওকত জানান, আসলে মিটিংটি সাংগঠনিক মিটিং নাকি পাবলিক মিটিং ছিল, আমি তা জানি না। তবে যদি তিনি (দৃষ্টি) আওয়ামী লীগের কোন পোস্টে থেকে থাকে বা তার যদি অপকর্ম থাকে আমরা যদি বিষয়টি জানতে পারিনি এবং তদন্ত করে যদি প্রমাণ মেলে অবশ্যই তাদের (মঞ্চে যারা উঠিয়েছেন) বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।