প্রচ্ছদ বিনোদন বন্ধ ফ্ল্যাট থেকে গন্ধ পান প্রতিবেশীরা, যেভাবে উদ্ধার হয় মনি কিশোরের মরদেহ

বন্ধ ফ্ল্যাট থেকে গন্ধ পান প্রতিবেশীরা, যেভাবে উদ্ধার হয় মনি কিশোরের মরদেহ

নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় গায়ক মনি কিশোর আর নেই। রাজধানীর রামপুরার নিজ বাসা থেকে শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাতে তার মরদেহ উদ্ধার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, তিন থেকে চারদিন আগে তার মৃত্যু হয়েছে। গায়কের মৃত্যুর কারণ এখনো নিশ্চিত নয়। তবে পুলিশ জানিয়েছে, শিল্পী মনি কিশোরের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) শাহাদত হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, মনি কিশোরের ফ্ল্যাটের দরজা ভেতরের দিক থেকে আটকানো ছিল। কয়েকদিন সে বাসা থেকে কোনো সাড়া শব্দ পায়নি প্রতিবেশীরা। এক সময় গন্ধ পেয়ে পাশের ফ্ল্যাটের লোকজন জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল দেয়।

তিনি বলেন, আমরা দরজা ভেঙে ভেতরে গিয়ে দেখি তিনি (মনি কিশোর) মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। তার দেহ ফুলে ফেঁপে ছিল। মরদেহ উদ্ধার করে আমরা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠাচ্ছি। সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে।

আরও পড়ুন: ময়নাতদন্তের পর সামনে এলো লিয়াম পেইনের মৃত্যুর চাঞ্চল্যকর তথ্য

প্রসঙ্গত, মনি কিশোরের পাঁচ শতাধিক গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। ৩০টির বেশি একক অ্যালবাম প্রকাশ হয়েছে মনি কিশোরের। যার প্রায় সবগুলোই ছিলো হিট। রেডিও, টিভির তালিকাভুক্ত শিল্পীও ছিলেন তিনি।

তার জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে ‘কী ছিলে আমার’, ‘সেই দুটি চোখ কোথায় তোমার’, ‘তুমি শুধু আমারই জন্য’, ‘মুখে বলো ভালোবাসি’, ‘আমি মরে গেলে জানি তুমি’ ইত্যাদি। তার সবচেয়ে শ্রোতাপ্রিয় গান ‘কী ছিলে আমার’ তারই সুর করা ও লেখা। ২০টির মতো গান লিখেছেন ও সুর করেছেন মনি কিশোর।