মিডিয়া : আলোচিত ও সমালোচিত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম বলেন, আওয়ামী লীগ-বিএনপি দু’দলের লোক মিলেই আমাকে মেরেছে। মূলত, আওয়ামী লীগের লোক বিএনপি হয়ে আমাকে মেরেছে।
গত মাসে হাসিনা সরকার পতনের সময় আমি সামনের সারিতে থেকে আন্দোলন করেছি। তারপরও আমার ওপর হামলা করা হলো। আমার ইমেজকে নষ্ট করার জন্য একটি পক্ষ ষড়যন্ত্র করছে।
গত সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
হিরো আলম বলেন, গত রবিবার আমাকে আওয়ামী লীগ-বিএনপি দু’দলের লোক মিলেই মেরেছে। এর আগে ৬ আগস্ট এফডিসিতেও বিএনপির লোকজন মেরেছিল। তখন তারা বলেছিল— ‘তুই রুহুল কবীর রিজভীর নামে মামলা করিস’। আমি ভাইরাল হওয়ার জন্য নাটক করিনি। আমি রাজনীতিতে আসার অনেক আগেই ভাইরাল হয়েছি নাটক সিনেমা করে। গতকাল যারা বিএনপির সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন তাদের ধিক্কার জানাই।
দু’টি কারণে তাকে মারধর করা হয়েছে বলে তিনি মনে করেন। হিরো আলম জানান, একটি হলো বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগ এনে ও আরেকটি আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর কাদেরের বিরুদ্ধে মামলার ঘটনায়। একটি রাজনৈতিক দলের অনেক নেতা বলেছেন— ‘আমি ভাইরাল হওয়ার জন্য নাটক সাজিয়েছি’। এ ধরনের মিথ্যা, গুজব ছড়ানো হয়েছে। এই কথার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। একটি দলের কিছু বহিষ্কৃত নেতা আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদেরকে শনাক্ত করেছি।
এর আগে গত রবিবার বগুড়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে প্রচারণার সময় মারধর ও ২০২৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি একই আসনে উপনির্বাচনে কারচুপি ও মারধরের অভিযোগে মামলা করেন। এদিন বেলা সাড়ে ১২টার দিকে আদালত এলাকায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় কয়েকজন তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।
সূত্র: সমকাল