রাশিয়ার সরকারি টেলিভিশনসহ ১২ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভুল তথ্য পরিবেশনের অভিযোগে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৫ সেপ্টেম্বর) জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কেবল আরটি নয়, প্রতিষ্ঠানটির সম্পাদকসহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, আরটির সঙ্গে সংযুক্ত ১০ ব্যক্তি ও দুই সংস্থার বিরুদ্ধে এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান সম্পাদক ও সহকারী প্রধান সম্পাদকও রয়েছেন।
মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি জ্যানেট ইয়েলেন বলেন, আমাদের সংস্থার ওপর থেকে মানুষের আস্থা নষ্ট করতে সরকারি মদদে মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছিল তারা। এ ব্যবস্থার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র বুঝিয়ে দিয়েছে, তারা এমন কর্মকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ নিতে পারে।
সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নেটওয়ার্কটির সঙ্গে জড়িতরা যুক্তরাষ্ট্রের মানুষকে প্রভাবিত করতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রভাবশালীদের নিয়োগ করেছিলেন। তারা এসব লোকদের মাধ্যমে ক্রেমলিনপন্থি প্রচারণার চেষ্টা করেছিলেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল গারল্যান্ড জানান, আরটির দুজন কর্মীর বিরুদ্ধে নিউইয়র্কে বিদেশি মুদ্রা আইন ও এজেন্ট রেজিস্ট্রেশন আইন ভঙ্গ করেছেন বলে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, অভিযুক্তরা একটি কোম্পানিকে রাশিয়ার পক্ষে প্রচারণার জন্য অর্থ দিয়েছিলেন। ওই কোম্পানির মাধ্যমে মার্কিন সামাজিক ইনফ্লুয়েন্সারদের দিয়ে প্রচারণার চুক্তি হয়েছিল।
মার্কিন সরকার জানিয়েছে, এরপর সংস্থাটি প্রায় দুই হাজার ভিডিও বানিয়েছে। অভিবাসন ও মুদ্রাস্ফীতির মতো বিষয়ে ভিডিও বানিয়েছেন তারা। নভেম্বর থেকে তাদের তৈরি ভিডিও এক কোটি ৬০ লাখের বেশি বার দেখা হয়েছে।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, আরটির এ কর্মকাণ্ডের বিষয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট অবহিত ছিলেন। মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, পুতিন এমন নির্দেশনা দিয়েছেন বলে আমাদের বিশ্বাস।
সুত্রঃ কালবেলা