সারাদেশ: জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক ৯ মন্ত্রী, দুই উপদেষ্টা, অবসরপ্রাপ্ত এক বিচারপতি ও সাবেক এক সচিবসহ ১৩ জনকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে। ১৪ জনকে হাজির করার কথা থাকলেও কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ১৩ আসামি ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে। অন্য একটি মামলায় রিমান্ডে থাকায় আব্দুর রাজ্জাককে সোমবার ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়নি। এছাড়া শাহজাহান খান অসুস্থ থাকায় প্রথমে আনতে না চাইলেও পরে সবার সঙ্গে তাকেও ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
যাদের হাজির করা হলো তারা হলেন- সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হক, ফারুক খান, ডা. দীপু মনি, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, শাহজাহান খান, জুনাইদ আহমেদ পলক, সালমান এফ রহমান, ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, কামাল আহমেদ মজুমদার, গোলাম দস্তগীর গাজী, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর আলম। তবে এসময় তাদেরকে হাস্যেজ¦ল দেখায়। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে তুমুল আলোচনা ও সমালোচনা।
নেটিজেনদের মতে, ফ্যাসিস্ট হাসিনা তাদের ইন্ধনেই হাজার মানুষকে খুন করে অবৈধভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকে। আর লুটপাট করে দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করে। তিনবার জোড় করে মানুষের ভোট ছিনতাই করে ক্ষমতায় আসে। এমনকী জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার কোটা আন্দোলন শুরু হলে তারা তা না মেনে মানুষকে খুন করা শুরু করে। তারপরও তাদের মাঝে কোনো অনুশোচনা নেই। এসব খুনিদের সঙ্গে কোনো আদব দেখানো উচিত নয়। তাদের পাথর নিক্ষেপ করে অপমানের সঙ্গে মারা উচিত। তারা ফ্যাসিস্টদের দোসর।
কেউ কেউ বলছেন, তারা হেসে কি প্রমাণ করতে চাচ্ছেন- নাকি তারা জেনে গেছেন তাদের কোনো বিচার হবে না। তাদের যদি ফাঁসি না দেওয়া হয় তাহলে মানুষের সঙ্গে বেইমানি করা হবে। ইমরান খাঁন নামে একজন ফেসবুকে রিখেছেন, এক সময়ের আওয়ামী লীগ ভেবেছিল চিরকাল ক্ষমতায় থাকবে। এছাড়া তারা মানুষকে অনেক জুলুম অত্যাচার করবে। কিন্ত আল্লাহ তার সুষ্ঠু বিচার করেছেন, আলহামদুলিল্লাহ। তাদেরকে ফাঁসির কাষ্ঠে দেখার অপেক্ষায় আমরা।
রাফাত বিন সাদাত নামে একজন লিখেছেন, খুনি হাসিনার শাসনামলে জনগণ যেমন অশান্তিতে ছিল তেমনি অনিরাপদে ছিল। খুনি হাসিনা ব্যাংক ডাকাত, খুন, দুর্নীতিবাজ, লুটেরা ও অবৈধ সরকার। আওয়ামী লীগের কর্তা ব্যক্তি থেকে শুরু করে এর দোসরদের সবাইকে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুঁলানো উচিত।
সূত্র: The Daily Inqilab