স্বামীকে তালাক দিয়ে একই কাজী অফিসে প্রেমিককে বিয়ে করেন সালমা খাতুন (ছদ্মনাম) নামের এক গৃহবধূ। শনিবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে রাজশাহীর তানোরের মুন্ডমালায় কাজী অফিসে স্বামীকে উপস্থিতি রেখে আগে তালাক দিয়ে প্রেমিক শাহিন আলমকে বিয়ে করেছেন সালমা খাতুন (২৪)।
শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুন্ডুমালা পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) শাহাজুল ইসলাম।
সালমা খাতুনের সদ্য তালাকপ্রাপ্ত স্বামী মাসুদ রানা রাজশাহী মহানগরীর কাশিয়াদাঙ্গা এলাকার মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে। লাকির বিয়ে করলেন তানোর উপজেলার বাধাইড় ইউনিয়নের গাল্লা বৈদ্যপুর গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে শাহিন আলমকে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) সকালে বিয়ের দাবিতে একই এলাকায় পরকীয়া প্রেমিক শাহিন আলমের বাড়িতে যান সালমা খাতুন। এ সময় সালমাকে মারধর করে মধ্যযুগীয় কায়দায় খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনে করেন ওই প্রেমিকের পরিবার। পরে মুন্ডুমালা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই শাহাজুল ইসলাম লাকিকে উদ্ধার করে তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। এরপরে তিনি সেখানে চিকিৎসা নিয়েছেন।
এ নিয়ে ঘটনার দিনে ওই নারী মুন্ডুমালা পুলিশ ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগ দেন। লিখিত অভিযোগে ওই নারী প্রায় ১১ বছর প্রেমিকের সঙ্গে সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেছেন। প্রেমিক শাহিনকে বিভিন্ন সময় ৩ লাখ টাকা ও ২৫ হাজার টাকা মূল্যের স্মার্ট ফোন দিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন সালমা খাতুন।
বিষয়টি নিয়ে শাহিনেরে সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
তবে শনিবার সন্ধ্যায় ওই নারীর মোবাইল ফোনে কল করা হলে তার মা রিসিভ করে বলেন, তার মেয়ে বাড়িতে নেই। সকালে বাড়ি থেকে বের হয়েছে। এখনও বাড়িতে ফেরেনি।
এ বিষয়ে এসআই শাহাজুল ইসলাম বলেন, ওই নারীর শাহিন নামের এক ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। মেয়েটার ওপর নির্যাতনের পর তাকে উদ্ধার করে তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। তাকে সুস্থ হয়ে অভিযোগ করতে বলা হয়েছিল। পরে সালমার ভাইকে ফোন করা হলে বিয়ের বিষয়টি সে নিশ্চিত করে।
তিনি আরও বলেন, শনিবার দুপুরে তানোরের মুন্ডমালায় আগের স্বামীকে তালাক দিয়ে পরে শাহিনকে বিয়ে করেছেন সালমা খাতুন। এই বিয়েতে ৫ লাখ টাকা দেনমোহর ধরা হয়েছে।