প্রচ্ছদ প্রবাসী সংবাদ স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও রেমিট্যান্স যোদ্ধা প্রবাসীরা স্বাধীনতার বিন্দুমাত্র স্বাদ পায়নি

স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও রেমিট্যান্স যোদ্ধা প্রবাসীরা স্বাধীনতার বিন্দুমাত্র স্বাদ পায়নি

প্রবাসী সংবাদ: ক্ষমতার পালাবদল হয় ঠিকই, কিন্তু প্রবাসীদের জীবনমান উন্নয়ন মর্যদা নিশ্চিত হয় না। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও হতভাগা রেমিট্যান্স যোদ্ধা প্রবাসীরা স্বাধীনতার বিন্দুমাত্র স্বাদ পায়নি। শুধু প্রতিশ্রুতি ও আশ্বাসেই প্রবাসীদের মর্যাদা ও সুযোগ সুবিধা সীমাবদ্ধ থাকে। মর্যাদা তো দূরের কথা বরং তাদের নানাভাবে হয়রানি করা হয়। সেটি বিদেশ যাওয়ার প্রক্রিয়া থেকে দেশে ফেরা পর্যন্ত। প্রবাসজীবন মানে নিষ্ঠুর, নিঃসঙ্গ জীবনযাপন এবং প্রিয়জনের সান্নিধ্য থেকে হাজার হাজার মাইল দূরে দেয়ালবিহীন এক কারাগার। কারও দুঃখ কেউ বুঝতে চেষ্টা করে না। নিজের দুঃখ নিজে অন্তরে রেখে নীরবে কান্না করতে হয় তাদের। প্রবাসে যারা গিয়েছেন, তারাই একমাত্র প্রবাসজীবন যে কত নির্দয় ও নির্মম, তার ব্যাখ্যা দিতে পারবেন। দুঃখ নিবারণ করার ইচ্ছা নিয়ে মা-মাটি ছেড়ে অজানা-অচেনা এক দেশের মাটিতে আশার ঘর বেঁধেছে।

প্রবাসীরা দুঃখবিলাসী নয়, তারা সুখের কাঙাল। বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় সুখ খুঁজে বেড়ায়। ঘুরে বেড়ায় পরদেশের এপার-ওপার। প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ বা রেমিটেন্স গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছে বাংলাদেশে অর্থনীতিতে। বাংলাদেশের জিডিপিতে (Gross Domestic Product) বিগত চার বছরে প্রবাসী আয়ে প্রায় ১২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। প্রায় তিন দশক ধরেই জনশক্তি রফতানি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অবদান রেখে চলেছে। নিজেদের সার্বিক ভাগ্যোন্নয়নের প্রতি বছর হাজারো তরুণ পরিবার-পরিজন ছেড়ে বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছে। বিদেশের শত প্রতিকূলতা ও বৈরী পরিবেশে নিজেদের মানিয়ে নিচ্ছে। এই শ্রমিকদের বেশিরভাগই অদক্ষ যারা নির্মাণ শিল্প থেকে শুরু করে কৃষি জমিসহ বিভিন্ন স্থানে দিন-রাত পরিশ্রম করে। তাদের এ অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে অর্জিত আয় নিজেদের পরিবারের থেকে শুরু করে মূলত প্রত্যক্ষ ও প্ররোক্ষভাবে দেশের অর্থনীতির চাকা গতিশীল রাখতে সাহায্য করছে। প্রবাসে কর্মরত এসব শ্রমজীবী মানুষের ঘামের ফলে পাওয়া প্রেরিত অর্থকে রেমিটেন্স বলে। রোববার (১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, আগস্ট মাসে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। এর মধ্যে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩৮ কোটি ৩৪ লাখ ৬০ হাজার ডলার। এ ছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ৭ কোটি ৮১ লাখ ২০ হাজার ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৭৫ কোটি ৫০ লাখ ৪০ হাজার ডলার ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৪৭ লাখ ১০ হাজার ডলার এসেছে।

গত জুলাইয়ে ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার। এ হিসেবে গত মাসের তুলনায় রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে প্রায় ১৬ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, আগস্টে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে শেষ পাঁচ দিনে। ২৫ থেকে ৩১ আগস্ট দেশে ৫০ কোটি ২৯ লাখ ৯০ হাজার ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এর আগে ১৮ থেকে ২৪ আগস্ট পর্যন্ত প্রবাসীরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ৫৮ কোটি ৪১ লাখ ১০ হাজার ডলার। ১১ থেকে ১৭ আগস্ট দেশে এসেছে ৪০ কোটি ৪৪ লাখ ১০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।

এ ছাড়া গত ৪ থেকে ১০ আগস্ট দেশে এসেছিল ৩৮ কোটি ৭১ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। আর গত ১ থেকে ৩ আগস্ট পর্যন্ত প্রবাসীরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ৯ কোটি ৫৬ লাখ ৫০ হাজার ডলার। কিন্তু দেশের সঙ্গে প্রবাসীদের সম্পর্ক গভীর হয়েও গভীর হতে পারে না, তার কারণ প্রবাসীদের কখনোই দেশ সম্মানের চোখে দেখে না বা তাদের মূল্যবোধের জায়গাটা দেয় না। কারণ প্রবাসীরা দেশের বাইরে থাকে বলে। প্রবাসীরা দেশের জন্য দেশ ছেড়ে যায় অন্য দেশে এটা বুঝলেও বোঝে না দেশের মানুষ। বেশ বড় বড় মানুষ বলে, প্রবাসীরা দেশ ছেড়েছে দেশের প্রতি তাদের মায়া, দেশের প্রতি তাদের টান নেই বলে, কিন্তু তারা এটুকু বোঝে না বা এটুকু বোঝার ক্ষমতা তাদের নেই যে, আমাদের দেশে কর্মসংস্থানেরর অভাবেই তারা দেশ ছেড়েছে, আমাদের দেশের মানুষজনদের ভালো রাখার জন্য তারা দেশ ছেড়েছে।

দেশ প্রবাসীদের ভুলে গেলেও প্রবাসীরা কখনো দেশের কথা ভোলে না, তারা ভুলতে পারে না, কেননা সে সেদেশের নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত হতে পারে। সুতরাং বলা যায়, প্রবাসীদের সঙ্গে দেশে সম্পর্কটা ততটা বন্ধুত্বপূর্ণ না হলেও দেশের প্রতি প্রবাসীদের একটা টান আছেই শুরু থেকে। কেননা তারা তাদের আপনজনদের দেখা পাওয়ার জন্য যেখানেই যাক না কেন সবশেষে তাদের দেশেই ফিরে আসতে হয়, মা বলে ডাকার জন্য নিজের গ্রামটার মনোমুগ্ধকর প্রতিচ্ছবি তাকে বার বার দেখায় যেন তার টান, দেশের প্রতি তার মায়া আরো তীব্র হয়ে ওঠে তার কাছে।

যে তীব্রতায় মিশে থাকে মা, মাটি, দেশ, মমতা অনেক কিছু। যা আসলে প্রবাসীদের মতো করে ভেতরে ভেতরে আর কেউ এত গভীর করে লালন করতে পারে না। পারবেই বা কেমন করে, প্রবাসীরা যে তাদের মায়া ত্যাগ করে অন্য দেশের নাগরিকত্ব অর্জন করতে পারে না বা অর্জন করলেও তাদের বিবেক তাদের অর্জন করতে দেয় না, সবসময় তাদের ভেতরে ভেতরে বুকের মধ্যে বাজতে থাকে যে, এটা তোমার দেশ না, এটা তোমার দেশ না। তোমার দেশ বাংলাদেশ। তখন প্রবাসীরা নতুন করে সবকিছু দেখতে শুরু করে, যে দেখায় মিশে থাকে দেশের প্রতি গভীর মমতা।

এই মমতাই তাদের আবার দেশে ফিরিয়ে আনে, প্রিয় মানুষের কাছে এসে তারা তাদের মুখ দেখে প্রবাসে থাকার তৃষ্ণা দূর করে। প্রবাসীরা আমাদের দেশের সম্পদ। তারা না থাকলে আমাদের দেশের উন্নতি এতটা চোখে পড়ত না, বাংলাদেশের নামটা অন্যান্য দেশের মতো এত স্পষ্ট করে পরিচিতি পেয়ে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারত না বা তার কাজ সম্পর্কে, এই দেশ সম্পর্কে মানুষের কোনো ধারণা হতো না।

প্রবাসীরা হলো একটি দেশের মোহর। যে মোহরের কারণে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে দেশ এবং দেশের মানুষ সুতরাং প্রবাসীদের ভালো থাকা বা ভালো রাখা আমাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে কিন্তু আমরা তার কতটুকু পালন করতে পেরেছি বা পারি তা হয়তো একটু লক্ষ করলেই বলতে পারি। দেশ থেকে প্রবাসীরা যখন বিদেশ যায় তখন তাদের প্রতি আমাদের বোধের জায়গাটা আরো খোলাসা হওয়া উচিত, যে খোলাসায় থাকবে স্পষ্টতা, গভীরতা, মমতা ও সম্মানবোধ।

বাংলাদেশে প্রবাসীদের হয়রানির শিকার হয় শুরু থেকেই। বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের প্রতিবেদন অনুযায়ী ফেনীর একলোকের মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশে যেতে খরচ হয়েছে ৭ থেকে ৮ লাখ টাকা এবং সরকার নির্ধারিত ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা।

আমাদের পাশ্ববর্তী দেশ ভারতে একজন লোক মধ্যপ্রাচ্যর যে কোনো দেশে যেতে বাংলাদেশের তুলনায় ৪ থেকে ৫ গুণ টাকা কম লাগে।বেসরকারি এজেন্সিদের দৌরাত্ম্য থেকেই উদ্ভব হয়। বাংলাদেশ বিমান বন্দরে সবচেয়ে বেশি হয়রানির শিকার হয় প্রবাসীরাই, বিদেশের বিমান বন্দর গুলোর কথা নাই বললাম। পাসপোর্ট তৈরি থেকেই আমাদের হয়রানি শুরু হয়। দালালদের দৌরাত্ম্য, মধ্যস্বত্বভোগীদের বাগরা দেওয়া।

সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতি। বিমানের টিকিটের মূল্য বৃদ্ধি সহ সঠিক সময়ে বিদেশে এসে নির্ধারিত কাজ না পাওয়া। বাংলাদেশ মিশনগুলোর গাফিলতি, সীমাহীন দুর্নীতির কারণে বিদেশে এসেও হয়রানির শিকার হয়, নিরাপত্তা দিতেও ব্যর্থ হয়। প্রবাসীদের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সেগুলো দূরীকরণের জন্য যথাযথ পরিকল্পনা এবং সঠিক বাস্তবায়ন প্রয়োজন। প্রবাসী এবং তাদের পরিবারের আর্থ-সামাজিক নিরাপত্তা ও উন্নয়নের জন্য প্রবাসীরা বাংলাদেশ সরকারের নিকট কিছু যৌক্তিক দাবি উপস্থাপন করছে। প্রবাসীদের যত বেশি সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হবে ততবেশি রেমিট্যান্স আসবে দেশে। আর রেমিট্যান্স প্রবাহ সচল থাকলে দেশের অর্থনীতির দ্রুত উন্নতি ঘটবে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উচিত স্বাধীনতার ৫০ বছরে এই স্বাধীনতার পূর্ণ স্বাদ নিতে দেয়া।বিভিন্ন সময় প্রবাসী সংগঠনগুলো দাবি জানিয়ে আসছে প্রবাসীদের পক্ষে।
প্রবাসীদের দাবিসমূহ দেশ ও জাতির স্বার্থে পূরণ করা প্রয়োজন।

১। জন্ম নিবন্ধন অনুযায়ী দেশে-বিদেশে প্রত্যেকটা প্রবাসীর পাসপোর্ট সংশোধন করার উদ্যোগ নিতে হবে। জন্ম নিবন্ধন ও ভোটার আইডি কার্ডসহ অন্যান্য ডকুমেন্টসের সংশোধনের জন্য দূতাবাসে বিশেষ সেল চালু করা। ১৫ বছর প্রবাসে থেকে দেশে চলে এলে, যুক্তিসংগত প্রবাসী অবসরভাতা দিতে হবে।

২। প্রবাসীরা প্রবাসে কিংবা ছুটিতে দেশে এসে কোনো কারণে মৃত্যুবরণ করলে বা কর্মক্ষেত্রে শারীরিক পঙ্গুত্ববরণ করলে এককালীন তার পরিবারকে ১০ লাখ টাকা প্রণোদনা বা ক্ষতিপূরণ হিসেবে দিতে হবে।

৩। কোনো প্রবাসী প্রবাসে মারা গেলে ওই প্রবাসীর লাশ রাষ্ট্রীয় খরচে এবং ব্যবস্থাপনায় দেশে ফেরত আনতে হবে এবং স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দিতে হবে।

8। প্রত্যেক প্রবাসীকে প্রবাসী পরিবার নামে বিশেষ স্মার্ট কার্ড দিতে হবে। ওই স্মার্ট কার্ড দিয়ে বাংলাদেশের সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানসহ প্রত্যেকটি সেক্টরে প্রতিটি কাজে যেমন- মেডিকেল ট্রিটমেন্ট ইউনিয়ন অফিস, থানা, সিটি করপোরেশন, ভূমি অফিস, পরিবহন সেক্টর থেকে শুরু করে সব নাগরিক সেবায় প্রবাসীর পরিবার যেন সুফল ভোগ করতে পারে।

৫। শুধুমাত্র পাসপোর্ট, ভিসা কপি অথবা আকামা কপি ব্যবহারের মাধ্যমে প্রবাসীদের সহজ শর্তে প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংক এবং সরকার নিয়ন্ত্রিত বা মালিকানাধীন অন্যান্য ব্যাংক থেকে বিনা সুদে বা সহজ শর্তে গৃহঋণ, ব্যবসায়িক ঋণসহ অন্যান্য ঋণ দিতে হবে এবং কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে বিদেশ গমনে আগ্রহী ব্যক্তিকেও এসব ব্যাংক থেকে ঋণ দিতে হবে।

৬। কোনো কারণে বাংলাদেশে কোনো প্রবাসীর নামে কোনো ধরনের মামলা-মোকদ্দমা হলে তা দ্রুত নিষ্পত্তির বিধি-বিধান এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। মামলা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৯০-১২০ দিন সময় দেওয়া যেতে পারে।

৭। প্রবাসে কোনো প্রবাসীর কোনো রকম সমস্যা হলে বাংলাদেশ দূতাবাস সব ধরনের সহযোগিতার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে। প্রবাসীদের জন্য কূটনৈতিক তৎপরতার বাধ্যবাধকতা সৃষ্টি করতে হবে। বাধ্যতামূলক দায়িত্ব পালন বা পদক্ষেপ নেওয়ার প্রশাসনিক ও আইনি কাঠামো শক্তিশালী করতে হবে।

৮। অসুস্থতার কারণে কোনো প্রবাসী দেশে এলে বাংলাদেশের সব সরকারি হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসা সেবা দিতে হবে।

৯। প্রতিটি প্রবাসী পরিবারের নিরাপত্তা দিতে হবে। প্রবাসী পরিবারের সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। প্রবাসী পরিবারের সামাজিক অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে রাষ্ট্র বা সরকার উপযুক্ত নীতিমালা ও কর্মপন্থা তৈরি করে তা যথাযথ বাস্তবায়নের ব্যবস্থা নেবেন।

১০। এয়ারপোর্টে কোনো ধরনের লাগেজের ক্ষতি হলে প্রতিটি খালি লাগেজের জন্য ২০ হাজার টাকা সাত দিনের মধ্যে দিতে হবে এবং লাগেজের ভেতরের কোনো মালামাল চুরি হলে প্রতি কেজির মূল্য গড়ে ২০ হাজার টাকা করে বিমান কর্তৃপক্ষকে সাত দিনের মধ্যে দিতে হবে। এয়ারপোর্টের ট্রলি এয়ারপোর্ট পার্কিং এরিয়ায় নেওয়ার সুবিধা করে দিতে হবে।

১১। অভিবাসনের ক্ষেত্রে এবং বিদেশযাত্রায় হয়রানি প্রতিরোধ করতে হবে এবং বিমানবন্দরে জটিলতা ইত্যাদি নিরসনে প্রয়োজনীয় সংস্কার ও কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রবাসীরা বাংলাদেশে আসা এবং বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে বিমানবন্দরে যেসব অনাকাঙ্ক্ষিত জটিলতায় পড়েন, সেসবের স্থায়ী নিরসন করতে হবে এবং প্রবাসীদের বিদেশে গমনাগমন সহজ ও সুশৃঙ্খল করার কার্যকর বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে।

সূত্র : মানবজমিন