জাতীয়: চাকরিতে যোগ দেওয়ার ১৯ বছর পর প্রথম পদোন্নতি পেলেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ৪০ কর্মকর্তা। এসব কর্মকর্তা ২০০৫ সালে সহকারী সচিব পদে যোগ দিয়েছিলেন। এখন ষষ্ঠ গ্রেডে সিনিয়র সহকারী সচিব পদমর্যাদায় অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা পদে পদোন্নতি পেলেন। একই সঙ্গে একজনকে পঞ্চম গ্রেডে উপসচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) ইসির জনবল ব্যবস্থাপনা শাখার সহকারী সচিব মোহাম্মদ শহীদুর রহমানের সই করা এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে পদোন্নতি প্রাপ্তদের ইসি সচিব বা ইসির ইন্টারনাল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যোগদানের জন্য বলা হয়েছে। তবে পরবর্তী নির্দেশনা দেওয়া পর্যন্ত পদন্নোতিপ্রাপ্তরা নিজ নিজ দপ্তরেই নিযুক্ত থাকবেন।
এ বিষয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, সিনিয়র সহকারী সচিব পদে ৪০ এবং উপসচিব পদে একজনকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।
ইসি কর্মকর্তাদের পদে বৈষম্য রয়েছে জানিয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব বলেন, অদ্ভুত কারণে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের পদবিতে বৈষম্য রয়েছে। যেমন ৬৪টি জেলার মধ্যে ১৯টি জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার পদ রয়েছে উপসচিব পদমর্যাদায় সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে। বাকি ৪৫টি হলো জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা অর্থাৎ সিনিয়র সহকারী সচিব। পদগুলো একই রকম হওয়া দরকার। এখানে কেন জানি দুই রকম রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক চালিয়েছেন সালমান ও এস আলম
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হচ্ছে অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা। ১৯টি জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আছে উপসচিব। কিন্তু অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তারা হচ্ছেন সিনিয়র সহকারী সচিব। এখানে অনেক কিছুই চিন্তাভাবনা না করে করা হয়েছে। এসব বৈষম্য দূর করার জন্য ইতোমধ্যে জনপ্রশাসনে পুনরায় প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, ২০০৫ সালে যোগ দেওয়ার পরও পদোন্নতি পাননি এমন আরও ৩১ কর্মকর্তা রয়েছেন। চাকরিতে যোগ দেওয়ার বয়স ছয় বছর হয়েছে কিন্তু পদ শূন্য না থাকার কারণে পদোন্নতি পাননি এমন কর্মকর্তা রয়েছেন তিন শতাধিক।