সারাদেশ: অবৈধ পথে দেশ ছেড়ে কলকাতায় পালিয়ে যান সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। এ বিষয়ে কিছুই জানে না র্যাব। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে। এ অবস্থায় সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সংশ্লিষ্টরা।
ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও হত্যার অসংখ্য মামলা কাঁধে নিয়ে কলকাতার একটি পার্কে আড্ডায় মাতেন এক সময়ের দাপুটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। যা ধরা পড়ে চ্যানেল 24 এর ক্যামেরায়। তবে, তারা কীভাবে ভারতে পালিয়েছেন সেটি জানে না, র্যাব। এ বিষয়ে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুনিম ফেরদৌস বলেন, আপনার মতো আমি একটি টিভি চ্যানেলে দেখতে পেয়েছি। এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানি না। নাম প্রকাশ না করার শর্তে, পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা চ্যানেল 24 কে জানান, চোরাই পথে ভারতে পালিয়ে যান সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। স্পেশাল ব্রাঞ্চের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, উনি ইমিগ্রেশন হয়ে যাননি। অবশ্যই অনেকে পালাতে গিযে ধরা পড়েছেন, কিন্তু সবাই তো ধরা পড়ছেন না উনিও তাদেরই একজন। একজন শিক্ষার্থী বলেন, ভারতের সঙ্গে যেহেতু আমাদের বন্দি বিনিময় চুক্তি রয়েছে, এই চুক্তির মাধ্যমে তাদের ঘাড় ধরে বাংলাদেশে এনে যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা করা উচিত।
আরেকজন শিক্ষার্থী বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যে কলকাতা পালিয়ে গিয়েছেন এবং সেখানে যে আড্ডা দিচ্ছেন এই বিষয়টি যে আমাদের জনগণের কাছে তুলে ধরেছেন এজন্য আমি আপনাদের অনেক ধন্যবাদ জানাই। এ বিষয়ে জানতে বিজিবির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও, তা সম্ভব হয়নি। অপরাধ বিশ্লেষক ড. তৌহিদুল হক বলেন, জুলাই বিপ্লবে যারা নির্দেশদাতা, যারা অপরাধ করেছেন, সরাসরি গুলি চালিয়েছেন, মানুষকে নির্যাতন নিপীড়ন করেছেন তাদেরকে আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়েই সেই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে। এর বিকল্প হিসেবে যে বা যারা কাউকে সীমান্ত পার করার ক্ষেত্রে সুযোগ করে দিচ্ছেন তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা প্রয়োজন। আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আসামিদের ফেরাতে উদ্যোগ নেয়ার পরামর্শও দেন তিনি।