চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতুতে যান চলাচল শুরুর পর আনন্দ উল্লাসে মাতবেন এলাকাবাসী। কিন্তু উল্টো সেতুতে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা না থাকায় আনন্দ পরিণত হয়েছে বিষাদে। সেতুর মাঝখানে যানবহন আটকে জনসাধারণের দুর্ভোগ ও ভোগান্তি বেড়েছে বহুগুণ।
রবিবার (২৭ অক্টোবর) যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয় চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতু। সকাল ১০টা থেকে সেতু দিয়ে চলাচল শুরু করেছে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন। তবে ৮ ফুট উচ্চতার বেশি গাড়ি চলাচল করতে দেয়া হচ্ছে না।
জানা যায়, ওই সেতুতে যান চলাচলের পর স্থানীয়দের উচ্ছ্বাস পরিণত হয়েছে বিষাদে। কারণ একমুখী সেতুর উভয় পাশে যান চলাচলে নিয়ন্ত্রণে থাকে ইজারাদার। তবে শুরু দিন কেউ না থাকায় সেতুর মাঝখানে উভয় দিক থেকে এসে আটকে যায় যানবাহন। এতে বাড়ে ভোগান্তি।
এ বিষয়ে ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মনির হাসেন বলেন, আমরা বুয়েটের পরামর্শক দল দিয়ে সংস্কার কাজ শুরু করেছি। এখন বলা যায় সেতুটি ঝুঁকিমুক্ত। স্বতঃস্ফূর্তভাবে যান চলাচল করতে পারবে।
জানা যায়, সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে ৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে বুয়েটের পরামর্শক দলের তদারকিতে সংস্কার শুরু হয়। বিকল্প হিসেবে কর্ণফুলী নদীতে চালু করা হয় ফেরি। যদিও কক্সবাজারগামী ও কিছু ট্রেন চলাচল করেছিল। তবে দীর্ঘ ১৪ মাস পর সেতুটি চালু হলেও পুরোপুরি সন্তুষ্ট নয় সাধারণ মানুষ। তারা চান নতুন সেতুর দ্রুত নির্মাণ কাজ শুরু হোক। এ দিকে সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নিমিত হবে রেল কাম সড়ক সেতু। যেটি এই অন্তবর্তীকালীন সরকারের আমলেই একনেকে গত মাসে অনুমোদন হয়েছে।