ধর্ম: আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেছেন, ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে মসজিদগুলোতে দান করা টাকা বন্যাকবলিত মানুষের সহায়তা হিসেবে দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। রোববার (২৫ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর বাড্ডা সাঁতারকুল এলাকায় আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের ত্রাণ কার্যক্রম পরিদর্শনে গিয়ে এ কথা বলেন তিনি। শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, ইসলামি শরিয়তের দৃষ্টিতে কোনো ব্যক্তি যদি একটা বিশেষ উদ্দেশে মসজিদে টাকা দেন, সেটা অন্যকোনো খাতে ব্যয় করার কোনো সুযোগ নেই। আমি আজই কোনো একটা জাতীয় গণমাধ্যমে দেখতে পেয়েছি একটা প্রোপাগান্ডা ছড়িয়েছে। পাগলা মসজিদ থেকে বড় একটা টাকার অঙ্ক আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনকে দিয়েছে। এটা একেবারেই অসত্য ও ভিত্তিহীন তথ্য।
তিনি বলেন, আপনি কিছু টাকা দিয়ে বললেন কিছু মানুষকে খাইয়ে দিতে কিন্তু আমি যদি সেই টাকা নিয়ে কোরআন শরিফ কিনে নিয়ে আসি, তাহলে সেটা কোনোভাবেই ঠিক হবে না বরং গুনাহ হবে। কারণ টাকার দাতা আমাকে সেই পারমিশন দেননি। কোনো ব্যক্তি যদি মসজিদে টাকা পয়সা দেয়, তাহলে সেই টাকা মসজিদের উন্নয়নে ব্যবহার হবে। আমরা কোনোভাবেই সেটা নিয়ে বন্যায় খরচ করতে পারি না। শায়খ আহমাদুল্লাহ আরও বলেন, আপনি বন্যার জন্য প্রয়োজনে মসজিদ থেকেই আলাদা ফান্ড তৈরি করবেন এবং টাকা উঠাবেন। ইসলাম ধর্মে সকল খাতেই আলাদা আলাদা খরচের সুযোগ আছে, যে কারণে একটাকে অন্যটার ভিতরে এনে ব্যবহারের কোনো প্রয়োজন নেই।
প্রসঙ্গত, সর্বশেষ শনিবার (১৭ আগস্ট) ৩ মাস ২৬ দিন পর পাগলা মসজিদের ৯টি দানবাক্স খুলে ২৮ বস্তা টাকা পাওয়া যায়। দিনভর গণনা শেষে সেই টাকার পরিমাণ ৭ কোটি ২২ লাখ ১৩ হাজার ৪৬ টাকা দাঁড়ায়। এ ছাড়া দানবাক্সে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কারও ছিল। এর আগে চলতি বছরের ২০ এপ্রিল পাগলা মসজিদের ৯টি দানবাক্স খোলা হয়েছিল। তখন রেকর্ড ৭ কোটি ৭৮ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৭ টাকা পাওয়া যায়। প্রতিবারই দানবাক্স খুললে কোটি কোটি টাকা পাওয়া যায়।
সূত্র: কালবেলা