লেবাননের এক নাগরিক নিজেকে আমিরাতের রাজপুত্র এবং রাজপরিবারের সদস্য হিসেবে পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের একটি ফেডারেল আদালত তাকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। আলেক্স ট্যানুস নামে ৩৯ বছর বয়সী এই ব্যক্তি দাবি করেছিলেন যে তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের এক উচ্চ পর্যায়ের ব্যবসায়ী এবং কূটনীতিক। সেই সঙ্গে আমিরাতের রাজপরিবারের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।
আদালতের নথি অনুযায়ী, ট্যানুস ভুক্তভোগীদের বিপুল পরিমাণে বিনিয়োগের বিপরীতে তাদের অনেক বেশি হারে সুদের প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিতেন। তিনি দাবি করতেন, বড় মুনাফার সুযোগ পেতে প্রথমে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদান করতে হয়। তবে সেই অর্থ প্রকৃতপক্ষে বিনিয়োগের জন্য নয়, এটি তার এবং তার পরিবারের বিলাসবহুল জীবনযাপনের জন্য ব্যয় করা হয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি কার্যালয় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ট্যানুসকে এ বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি গ্রেপ্তার করা হয়। সেই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে ৬টি ওয়্যার ফ্রডের অভিযোগ আনা হয়। জুলাইয়ে তিনি একটি অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হন। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাকে তার ভুক্তভোগীদের প্রায় আড়াই কোটি (বাংলাদেশি মুদ্রায়) বা ২২ লাখ ডলার ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।
প্রতারণার শিকারদের মধ্যে একজন বেলজিয়ামের বাসিন্দা মার্ক ডি স্পিগেলরি আদালত ছাড়ার পর খালিজ টাইমসকে জানিয়েছেন, ট্যানুসকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেয়ায় তিনি কিছুটা স্বস্তি অনুভব করছেন। ডি স্পিগেলরি প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, ‘ট্যানুস এখানে যুক্তরাষ্ট্রের একটি ফেডারেল কারাগারে ২০ বছরের শাস্তি পেয়েছে।’ এছাড়া তিনি জানান যে ট্যানুসকে তিন বছর পর্যবেক্ষণাধীন হেফাজতে থাকতে হবে এবং ২০০০ ঘণ্টারও বেশি কমিউনিটি সার্ভিস দিতে হবে। পাশাপাশি মার্কিন ভুক্তভোগীদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ডি স্পিগেলরি বলেন, এই সাজা আমার হারানো ৭ লাখ ইউরো বা জীবনের ১০ বছর ফিরিয়ে দিতে পারবে না, তবে সে কারাগারে দুই দশক কাটাবে, এই ভেবে আমি ও অন্যান্য ভুক্তভোগীরা কিছুটা সান্ত্বনা পাচ্ছি।’