চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনার জ্বলে ওঠার দিনে ভুল করেনি ব্রাজিলও। বড় জয় তুলে নিয়েছে তারাও। ঘরের মাঠে একপেশে ম্যাচে বিধ্বস্ত করেছে পেরুকে। রাফিনিয়া করেছেন জোড়া গোল।
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে বুধবার ভোরে পেরুর মুখোমুখি হয়েছিল ব্রাজিল। এস্তাদিও ন্যাসিওনাল মানে গ্যারিঞ্চা স্টেডিয়ামে ৪-০ গোলের বড় জয় পেয়েছে সেলেসাওরা।
ব্রাসিলিয়ায় এদিন একক আধিপত্য ছিল ব্রাজিলের। দলের সেরা তারকা ভিনিসিউসকে ছাড়াই খেলতে নামলেও তার প্রভাব পড়েনি। বলা যায় পড়তে দেননি রাফিনহা। বার্সার জার্সিতে দারুণ সময় পাড় করা এই ফুটবলার জাতীয় দলের জার্সিতেও জ্বলে উঠেছেন এদিন।
অবশ্য প্রথম গোলের জন্য ব্রাজিলকে অপেক্ষা করতে হয় দীর্ঘক্ষণ। ৩৮ মিনিটে প্রথমবার উদযাপনে মাতে সেলেসাওরা। পেনাল্টি থেকে গোল করেন রাফিনহা। বক্সের ভেতর পেরুর ডিফেন্ডার কার্লোস সামব্রানোর হাতে বল লাগলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।
এর ৪ মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করার দারুণ সুযোগ হাতছাড়া করেন রদ্রিগো। তাতে প্রথমার্ধে আর গোল আসেনি। ১-০-তে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় ব্রাজিল।
দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম মিনিটেই সুযোগ পান রদ্রিগো। তার চমৎকার বাঁকানো শট ঝাঁপিয়ে কোনোমতে ব্যর্থ করে দেন পেরু গোলরক্ষক গালেসি। তবে দ্বিতীয় গোলের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। স্বাগতিকরা দ্বিতীয় গোলটি পায় ৫৪ মিনিটে।
এবারো পেনাল্টি, এবারো গোলদাতা রাফিনহা। অবাক করার মতো হলেও এবারো পেরুর খলনায়ক সেই সামব্রানো। যদিও এবার বল তার হাতে লাগেনি, বক্সের ভেতর সাভিনিওকে ফাউল করায় পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।
একের পর এক সুযোগ মিস করা ব্রাজিলের তৃতীয় গোল আসে ৭১ মিনিটে। এবার আর পেনাল্টি নয়, দারুণ ভলিতে দুর্দান্ত গোল করেন আন্দ্রেয়াস পেরেইরা। লুইস হেনরিকের পাস থেকে বল জালে জড়ান তিনি।
মিনিট তিনেক পর হেনরিক নিজেই এবার স্কোরশিটে নাম লিখেন। জেসুসের কাছ থেকে বল পেয়ে ডি বক্সের বাইরে থেকে দারুণ বাঁকানো শটে জাল খুঁজে নেন। গোলের হালি পূরণ করে ব্রাজিল।
বাকি সময়ে গোলের তেমন কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি কোনো দলই। তাতে বড় জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে সেলেসাওরা।
অন্যদিকে, লিওনেল মেসির হ্যাটট্রিকে বড় জয় তুলে নিয়েছে আর্জেন্টিনা। বুধবার ভোরে ঘরের মাঠে বলিভিয়ার বিপক্ষে দিয়েছে নিজেদের সেরাটাই, পেয়ছে ৬-০ গোলে জয়।
দারুণ হ্যাটট্রিকে আন্তর্জাতিক ফুটবলে আরো এক কীর্তি গড়লেন মেসি। পেয়েছেন আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে দশম হ্যাটট্রিকের দেখা। ছুঁয়েছেন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে। তার আন্তর্জাতিক হ্যাটট্রিক সংখ্যাও সমান ১০।
তবে একটা জায়গায় এগিয়ে মেসি। ১৮৯টি ম্যাচ খেলেই ছুঁয়েছেন এই মাইলফলক। যেখানে রোনালদো খেলেছেন ২১৫টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ। যদিও আন্তর্জাতিক ফুটবলের সর্বোচ্চ হ্যাটট্রিকের অধিকারী হতে প্রয়োজন এখনো আরো তিনটা হ্যাট্রিক।
সব মিলিয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলে ১১২তম গোলের দেখা পেলেন মেসি। সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার তালিকায় তার ওপরে কেবল রোনালদো। ১৩৩ গোল তার।