প্রচ্ছদ জাতীয় দোকান ভাঙছিলেন দুই যুবদল কর্মী, সেনাবাহিনীর হাতে ধরা

দোকান ভাঙছিলেন দুই যুবদল কর্মী, সেনাবাহিনীর হাতে ধরা

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের পর একপক্ষের কর্মীরা অপর পক্ষের দোকান ভাঙচুরের সময় দুইজনকে আটক করেছে সেনাবাহিনী। গত বুধবার (১৪ আগস্ট) এ ঘটনা ঘটে। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও শনিবার (১৭ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়।

ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, দোকান ভাঙচুরের সময় তাদের সিনেম্যাটিক কায়দায় আত্মসমর্পণ করিয়ে আটক করে সেনাবাহিনী।

আটককৃতরা হলেন- বোয়ালমারীর যুবদল কর্মী মো. টুটুল হোসেন (২৮) ও দুখু মিয়া (৩০)। বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

১ মিনিট ১৭ সেকেন্ডের সিসিটিভি ফুটেজের ভাইরাল ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, দুই ব্যক্তি একটি মোটরসাইকেলে করে একটি দোকানের সামনে আসেন। এদের একজনের হাতে কুড়াল, আরেকজনের হাতে রামদা ছিল। এগুলো দিয়ে তারা দোকানের সাটারে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই দেখা যায় একটি গাড়িতে করে আসেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। এসেই দুই সেনাসদস্য ওই দুই ব্যক্তির ওপর অস্ত্র তাক করলে তারা হাঁটু গেড়ে কানে ধরে আত্মসমর্পণ। এরপর তাদের আটক করে নিয়ে যায় সেনাবাহিনী।

প্রসঙ্গত,গত বুধবার (১৪ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে ফরিদপুর-১ (বোয়ালমারী, আলফাডাঙ্গা ও মধুখালী ) আসনে বিএনপির দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনুর গাড়ি বহরে মধুখালীর রায়পুর ইউনিয়নের দিঘলিয়া এলাকায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে হামলার ঘটনা ঘটে। ওই আসনে বিএনপির আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহসভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলামের সমর্থকরা এ হামলা করেছে বলে অভিযোগ করেন শামসুদ্দিন মিয়া।

এর প্রতিবাদে ওইদিনই বিকেল ৪টার দিকে বোয়ালমারী পৌরসভার কামারগ্রামে অবস্থিত খন্দকার নাসিরুল ইসলামের সমর্থক উপজেলা জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সঞ্জয় সাহার কার্যালয়ে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে দুই ছেলেসহ আহত হন সঞ্জয় সাহা। এ ঘটনায় তিনি বোয়ালমারী উপজেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক মো. আজিজুল শেখকে প্রধান করে ৬ জনের নাম উল্লেখ করেু এবং অজ্ঞাতনামা আরও দুই-তিনজনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন।

শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বোয়ালমারী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ভাইরাল হওয়া ভিডিওর ওই দুই ব্যক্তিকে সেনাবাহিনী আটক করে আমাদের কাছে হস্তান্তর করে। পরে সঞ্জয় সাহার মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।