বাংলাদেশে নারী ক্রিকেটের উত্থানের শুরুটায় ছিলেন সালমা খাতুন। এই অলরাউন্ডারকে দেখে অনেক বাংলাদেশি মেয়ে ক্রিকেটে আসার অনুপ্রেরণা পেয়েছে। তবে বয়স, ফিটনেস আর পারফরম্যান্সে ভাটা পড়ায় লম্বা সময় ধরেই জাতীয় দলের বাইরে সালমা। সুযোগ পাননি আসন্ন নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও।
সালমার জাতীয় দলে ফেরার আর সুযোগও দেখছে না টিম ম্যানেজমেন্ট। ইতোমধ্যেই তাকে মাঠ থেকে অবসরের জন্য প্রস্তাব দিয়েছে বিসিবি। আর তাতে রাজি হলে তাকে একটি ম্যাচ খেলার সুযোগ করে দেবে বোর্ড। সালমার মতোই একই বার্তা দেওয়া হয়েছে রুমানা আহমেদকেও।
নারী দলে নির্বাচক সাজ্জাদ আহমেদ জানালেন, ‘সালমার ব্যাপারটা.. একই সঙ্গে রুমানাও… আমরা ওদের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে কথা বলেছি। বোর্ডের পক্ষ থেকে কথা বলেছি যে, ওরা যদি শেষ খেলাটি খেলতে চায়, ওদেরকে সেই সুযোগ দেওয়া হবে। একটি ম্যাচ খেলিয়ে ওদেরক অফিসিয়ালি বিদায় দিতে পারব।’
‘পাশাপাশি এটাও বলেছি যে, ওরা যদি খেলা ছেড়ে দেয়, ওদেরকে অন্য কোথাও কাজে লাগানো যেতে পারে, কোচিং বা আম্পায়ারিং, বা কোথাও। ওরা এভাবেই চিন্তা করছে। হয়তো এই বছরটা ওরা খেলবে (ঘরোয়া ক্রিকেটে)। এরপর আমার মনে হয়…।’-যোগ করেন তিনি।
বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটের প্রায় শুরু থেকেই সঙ্গী সালমা। ২০১১ সালে দেশের প্রথম ওয়ানডে ও পরের বছর প্রথম টি-টোয়েন্টিতে তিনিই ছিলেন অধিনায়ক। অনেক বছর ধরে দেশের নারী ক্রিকেটের মুখ ছিলেন তিনিই। বাংলাদেশের হয়ে ১৪১টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন এই অলরাউন্ডার। দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ৬৫ টি-টোয়েন্টি ও ১৮ ওয়ানডেতে।