প্রচ্ছদ সারাদেশ জামায়াত আমিরের ‘ক্ষমা’ নিয়ে সাঈদীপুত্রের স্ট্যাটাস

জামায়াত আমিরের ‘ক্ষমা’ নিয়ে সাঈদীপুত্রের স্ট্যাটাস

সারাদেশ: বিগত আওয়ামী লীগ সরকার সাড়ে ১৫ বছরে রাজনৈতিকভাবে জামায়াতে ইসলামীর ওপর যে নির্যাতন করেছে, এর জন্য তাদের ক্ষমা করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। সম্প্রতি ঢাকায় সিনিয়র সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা জানান। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি রীতিমতো ভাইরাল হয়। এ নিয়ে আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে রাজনৈতিক মহলেও।

এবার জামায়াত আমীরের ‘ক্ষমা’ নিয়ে দলটির নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে মাসুদ সাঈদী ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। বুধবার দেওয়া স্ট্যাটাসে তিনি ক্ষমা’র সংক্ষেপ বিশ্লেষণ করেন। তিনি লিখেছেন, ‘ক্ষমা’ শব্দ দিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর এক অভাবনীয় ঘটনা ঘটিয়ে দিলেন! আমরা তা সংক্ষেপে বিশ্লেষণ করছি।

১. জামায়াতে ইসলামীর পরম উদারতার স্নিগ্ধতায় উন্নত চিন্তার মানুষদের মন জুড়িয়ে দিলেন।

২. আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভের মাত্রা উন্মোচিত করে দিলেন।

৩. নিজ দলের নেতা-কর্মীদের প্রকৃত মান যাচাই করে নিলেন।

৪. বিএনপি এবং অপরাপর দলের সমর্থকদের ভবিষ্যৎ রাজনীতির হালহকিকত কী হতে পারে, তা দেখে নিলেন এবং প্রতিশোধের ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজির পথ রুদ্ধ করে দিলেন।

৫. ভিকটিমদের মামলা করার জন্য সংকেত দিলেন।

৬. আন্তর্জাতিক বিশ্বকে নিরপেক্ষভাবে ন্যায়বিচার করা হবে মর্মে সংকেত দিলেন।

৭. সাধারণত জনগণকে সংকেত দিলেন যে, জামায়াতের উপরে আস্থা রাখুন। তারা সমাজে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেনি, করবেও না। এটি ছিল ১৬ বছরের আওয়ামী অপপ্রচারের জবাব।

৮. বর্তমান সরকারকে সংকেত দিলেন যে, জামায়াত আপনাদের জন্য অস্বস্তি সৃষ্টি হওয়ার মতো কোনো কাজ করবে না। আপনারা জাতির প্রত্যাশা নিয়ে কাজ করে যান।

৯. আওয়ামী লীগের সমর্থকদের সংকেত দিলেন যে, বাঁচার জন্য প্রতিবিপ্লবের চেষ্টা করে নতুন করে বিপদ ডেকে এনো না। তোমার অপরাধী, নেতাদের বিচার হবে, তাদের জেল হবে এবং ফাঁসিও হবে। তোমরা বরং নিজেদের ব্যবসা-বাণিজ্য ও কাজকর্মে মনোযোগ দাও। এ সংকেতটি এ মুহূর্তে আওয়ামী লীগের সংগঠিত হওয়ার প্রচেষ্টাকে নিশ্চিতভাবে দুর্বল করে দেবে।

১০. জামায়াত কর্মীদের স্মরণ করিয়ে দিলেন যে, জামায়াত আসলেই একটি ইসলামী কাফেলা। এখানে জাহিলি মানসিকতা চলে না। জাহেলি যুগের প্রতিশোধ জেনারেশন টু জেনারেশন চলতে থাকতো!

১১. বিপ্লবোত্তর সময়েও আইনের প্রতি শ্রদ্ধার বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন, যা হবে আইন অনুযায়ী হবে। যা করার রাষ্ট্র করবে। তোমরা কেউ আইন হাতে তুলে নিও না। তোমরা মামলা করো, আমরা মামলায় সহযোগিতা করবো।

সবশেষে মাসুদ সাঈদী লিখেছেন, কী অসাধারণ রাজনৈতিক বয়ান। কী গভীর চিন্তা! কী সুক্ষ মেসেজ! এগুলো বুঝতে হলেও বুঝ লাগে। জামায়াত নেতারা যেটি আজকে বোঝে, অন্যরা সেটি ৫০ বছর পরে বোঝে!

সূত্র: ইত্তেফাক