সেনাবাহিনীর চাকরি থেকে অব্যাহতি পাওয়া জেনারেল জিয়াউল আহসান ‘আয়নাঘর’ তার সৃষ্টি নয় বলে দাবি করেছেন। তিনিও ‘আয়নাঘরে’ ছিলেন বলেও দাবি করেন সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা। একই সঙ্গে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।
আজ শুক্রবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাতুল রাকিব ছাত্র আন্দোলন চলাকালে দোকান কর্মচারী শাহজাহান আলী (২৪) হত্যা মামলায় সাবেক এই সেনা কর্মকর্তার আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিন বিকেল ৫টার দিকে তাকে আদালতে নিয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছিল।
শুনানি চলাকালে বিচারককে আদালতে জিয়াউল আহসান বলেন, ‘আয়নাঘর আমার সৃষ্টি না। আমাকেও আট দিন আয়নাঘরে রাখা হয়েছে। ৭ আগস্ট আমাকে তুলে নেওয়া হয়। এর পর থেকে আট দিন ধরে আয়নাঘরে ছিলাম। আমি নির্দোষ।’
জিয়াউল আহসানের আইনজীবী নাজনীন নাহার বলেন, ‘আয়নাঘর সম্পর্কে সবাই জানেন। আয়নাঘর উনার (জিয়াউল আহসান) সৃষ্টি, এটা সত্য নয়।
আয়নাঘরে তিনি অলরেড়ি আট দিন থেকে এসেছেন। সেনাবাহিনীর কোনো কাজ করতে হলে প্রধানের অনুমতি নিতে হয়।’
এর আগে কোটাবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে দোকান কর্মচারী শাহজাহান আলী হত্যা মামলায় বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) দিবাগত রাতে রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ১০ দিনের রিমান্ডে আছেন।
গত ১৬ জুলাই কোটাবিরোধী আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর নিউ মার্কেট এলাকায় পাপোশের দোকানের কর্মচারী শাহজাহান আলীকে হত্যার অভিযোগে তার মা আয়শা বেগম (৪৫) একটি মামলা করেন।
মামলায় আসামি করা হয় অজ্ঞাতপরিচয়।
গত ৬ আগস্ট আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
২০২২ সালের ৫ সেপ্টেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক আদেশে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) মহাপরিচালকের (ডিজি) দায়িত্ব দেওয়া হয় মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানকে।